কথাসাহিত্যিক শওকত আলী আইসিইউতে

শওকত আলী (ছবি: সংগৃহীত)ভালো নেই একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শওকত আলী। অসুস্থ হয়ে তিনি এখন রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে এখানে।
রক্তে সংক্রমণজনিত কারণে শওকত আলী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাবা ল্যাবএইডের আইসিইউতে আছেন। তার রক্তে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। ৪৮ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত আলী এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তার জন্ম। পারিবারিকভাবেই বেড়ে উঠেছেন রাজনীতি-সচেতন ও সংস্কৃতিমনা পরিবেশে। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংস্পর্শে এসেছেন বইয়ের।
শওকত আলীর লেখা পাঠকনন্দিত উপন্যাসের তালিকায় রয়েছে ‘যাত্রা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘উত্তরের খেপ’ প্রভৃতি। এর মধ্যে ‘উত্তরের খেপ’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৬ সালে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার পান শওকত আলী। ১৯৫৮ সালে এম.এ. পাস করে দিনাজপুরের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও কলেজে বাংলার শিক্ষক হন গুণী মানুষটি।

১৯৬২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন শওকত আলী। ১৯৮৮ সালে জেলা গেজেটিয়ারের ঢাকার হেড অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৯ সালে সরকারি সঙ্গীত কলেজের প্রিন্সিপাল করা হয় তাকে। এখান থেকে ১৯৯৩ সালে অবসরে যান তিনি।