লাইফ সাপোর্টে কথাসাহিত্যিক শওকত আলী

রক্তে সংক্রমণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া কথাসাহিত্যিক শওকত আলীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

শওকত আলীশওকত আলীর ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল বাংলা ট্রিবিউনকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ শনিবার ভোর ৫টার সময় তাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। তার শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেছে ফলে তার জ্ঞান ফিরছে না বলে পরিবারকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই সাপোর্টের ফলে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। 

তিনি আরও বলেন, ‘আগে থেকেই বাবার কিডনি, হার্ট, ফুসফুসে সমস্যা ছিলো। রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেসব সমস্যার মাত্রাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।’ এসময় তিনি সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় শওকত আলীকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে।

বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত আলী এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তার জন্ম। পারিবারিকভাবেই বেড়ে উঠেছেন রাজনীতি-সচেতন ও সংস্কৃতিমনা পরিবেশে। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংস্পর্শে এসেছেন বইয়ের।

শওকত আলীর লেখা পাঠকনন্দিত উপন্যাসের তালিকায় রয়েছে ‘যাত্রা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘উত্তরের খেপ’ প্রভৃতি। এর মধ্যে ‘উত্তরের খেপ’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৬ সালে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার পান শওকত আলী। ১৯৫৮ সালে এম.এ. পাস করে দিনাজপুরের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও কলেজে বাংলার শিক্ষক হন গুণী মানুষটি। 

আরও পড়ুন: কথাসাহিত্যিক শওকত আলী আইসিউতে