শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলের কাছে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জাহিদ নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ভেতরে পেয়েছি। তবে এটা আসল কিনা নিশ্চিত না। একই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিতে অন্য নাম। ফটোকপিতে লেখা সজীব। তাই আমরা ধারণা করছি জাতীয় পরিচয়পত্রটি ফেক (ভুয়া)।’
ডিজি বলেন, ‘নিহত তিনজনই পুরুষ। তাদের বয়স ২০/৩০ বছরের মধ্যে। এ মাসের ৪ তারিখ তারা রুমটি ভাড়া নেয়। কিন্তু বাড়িওয়ালা জানেই না তার বাড়িতে নতুন মেম্বার উঠেছে। তিনি তার বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার জন্য রুবেল নামে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। রুবেলই মেস ভাড়া দিয়ে থাকে। আমি বাড়িওয়ালাদের অনুরোধ করবো ভাড়াটিয়া সম্পর্ক তথ্য রাখুন। সন্দেহ হলে আমাদের জানান।’
গ্যাসের চুলার ভেতরে গ্রেনেড রেখে বিস্ফোরণের চেষ্টা
নিহত তিন জঙ্গি একটি গ্রেনেড চুলার ভেতরে রেখে গ্যাস ছেড়ে দিয়েছিল। তারা এটি বিস্ফোরিত করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব ডিজি। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা চুলার ভেতরে গ্রেনেড রেখে গ্যাস ছেড়ে দিয়ে আগুন জ্বালাতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তারা সেটা পারেনি।’
আস্তানার ভেতর অবিস্ফোরিত ভেস্ট
নাখালপাড়ার জঙ্গি আস্তানার ভেতরে অবিস্ফোরিত ভেস্ট রয়েছে। যা নিষ্ক্রিয় করতে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল টিম কাজ করছে। র্যাবের ডিজি বলেন, ‘জঙ্গিদের কাছে বিস্ফোরক, গ্রেনেড, জেল, পিস্তল ছিল। তারা রাতে আমাদের সদস্যদের গুলিও করেছে। কক্ষের ভেতরে এখনও অবিস্ফোরিত ভেস্ট আছে। একটি গ্রেনেড আছে। সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ চলছে।’
জঙ্গির দেহে অবিস্ফোরিত ভেস্ট
‘আত্মঘাতী’ হওয়া এক জঙ্গির শরীরে এখনও একটি অবিস্ফোরিত ভেস্ট রয়েছে। বেনজীর আজমেদ বলেন, ‘এই ভেস্ট নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আমরা থানা পুলিশকে সুরাতহালের জন্য ডাকবো। আমাদের ফরেনসিক টিম কাজ করবে। ক্রাইমসিনকে আসার জন্য অনুরোধ করছি।’
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ নয়। শান্তিপ্রিয় ১৬ কোটি মানুষের জন্য বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনই পাওয়া যায়নি। তাদের বিষয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় ১৩/১ ঠিকানায় সাব্বির রহমানের ছয়তলা বাড়ির একটি মেস কক্ষে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার অভিযান চালায় র্যাব। পরে তিন জঙ্গির লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- তিন জঙ্গি ‘আত্মঘাতী’