বাজেটের সময় এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি- ফোকাস বাংলা

আগামী বাজেটের সময় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) সিদ্ধান্ত হবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমপিওভুক্তিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষার মান সব কিছু বিবেচনার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘স্কুলে কত শিক্ষার্থী আছে, স্কুলের মান কী? শিক্ষার মান কী? যারা শিক্ষক, তারা শিক্ষক হিসেবে কী পর্যায় শিক্ষা দিচ্ছেন, এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা গ্রহণ করেই এমপিওভুক্তি করবো। আমরা যখন আশ্বস্ত করেছি, নিশ্চয়ই সব কিছু বিবেচনা করে পরবর্তী বাজেট এলে সিদ্ধান্ত নেবো।’

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপিওভুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশকে পাচ্ছি এক একজন এক একটা দাবি নিয়ে চলে আসছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। তবে এটা করতে গেলে আমাদের বাজেটে কত টাকা আছে, তা দেখতে হবে। কোনও স্কুল এটা পাওয়ার যোগ্য কিনা, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কত? তা দেখতে হবে।  একটা স্কুলে কত শিক্ষার্থী আছে, স্কুলের মান কী, শিক্ষার মান কী? যারা শিক্ষক, তারা শিক্ষক হিসেবে কী পর্যায় শিক্ষা দিচ্ছেন, এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা গ্রহণ করেই কিন্তু আমরা সরকারি হোক বা এমপিওভুক্তি  হোক, তা করছি।’

এ প্রসঙ্গে বাজেটের সীমাবদ্ধতার প্রসঙ্গ উল্লেখ তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে বাজেটের টাকা জনগণের টাকা। এই জনগণের টাকা হেলাফেলা করে ফেলে দেওয়ার নয়। এটাকে যথাযথভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ হয়, সেটাই আমরা চাই। আর শুধু এমপিওভুক্ত করা নয়, শিক্ষাকে মানসম্মত শিক্ষা যাতে হয়, আমরা সেই উদ্যোগ নেবো।’

সরকারিকরণ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক একটি তদবিরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে একজন এলো, মাননীয় স্পিকার (তিনি) আপনার নির্বাচনি এলাকার। মাত্র দেড়শ ছাত্রছাত্রী। সেটা সরকারিকরণ করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। আমার আত্মীয়। আমি বলে দিয়েছি, যেখানে মাত্র দেড়শ ছাত্র-ছাত্রী এটাকে কী করে সরকারিকরণ করবো। আত্মীয় হলেও আমি ওখানে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলাম বলেই করতে পারবো না। যৌক্তিকতা তো থাকতে হবে। আমার আত্মীয় বলেই আমার কাছে একটা প্রস্তাব নিয়ে এলো, আর আমি তা দেখেই সরকারি করে দেবো, এত বড় অন্যায় তো আমি করবো না।’

স্পিকারের সভাপতিত্বে বুধবার প্রশ্নোত্তরের প্রথম ৩০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ছিল।
আরও পড়ুন: 

সংঘর্ষ আমার সঙ্গে নয়, আইভী বনাম হকারের: শামীম ওসমান