কমিশনের গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না: ইসি সচিব





ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন ও ‍দুই সিটির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন আইনি জটিলতার কারণে স্থগিত হওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) কোনও গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করেছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ দাবি করেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে এবং আইনি বিষয়গুলো যাচাই না করে তফসিল দেওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ এসেছে, এর দায় কমিশন নেবে কিনা এমন প্রশ্নে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আইনি বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেই তফসিল ঘোষণা করেছি।’
কোন কারণে স্থগিত হয়েছে, তা আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মন্তব্য করতে পারবেন বলে ইসি সচিব জানান।
সচিব জানান, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তা বিস্তারিত আলোচনা করেছে। কমিশন বলেছে, মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে আজকে (বৃহস্পতিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড মহামান্য হাইকোর্ট ৩ মাসের জন্য যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন একইভাবে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থায় যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আদেশ পাইনি। আমরা শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে এবং উকিল প্রত্যয়নের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যখন আদেশটি হাতে পাব, আমরা নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করব। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।’
কোন বিষয়গুলোতে নির্বাচন আটকে রয়েছে, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘কোন কোন জায়গায়, কোন বিষয়ের ওপর মহামান্য হাইকোর্ট ওনাদের অবজারভেশনের আলোকে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, সেটা আমরা জানতে পারিনি। মহামান্য হাইকোর্ট কোন জায়গায় ত্রুটিগুলো ধরেছে আদেশের কপি পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব।’
জটিলতা নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেনি ইসি— স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে জাতীয় নির্বাচন ইসি নিজেরাই পরিচালনা করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কোনটা করব, কোনটা করব না। সেক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ পাওয়ার পরই কিন্তু নির্বাচনের কাজে হাত দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছে। মহামান্য হাইকোর্ট কোন বিষয়ের ওপর আদেশ দিয়েছেন, তা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না।’
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপর চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।