সাতক্ষীরা থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

থানা থেকে নিখোঁজ মোখলেসুর রহমান জনি, ফাইল ছবিসাতক্ষীরার সদর থানা থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শেখ মোখলেছুর রহমান জনি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় আদেশের জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

একইসঙ্গে জনি নিখোঁজের পর জিডি না নেওয়া এবং এই ঘটনায় পিবিআই-এর তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা, বর্তমান ওসি এমদাদুল হক এবং এসআই হিমেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মতিউর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

গত ৪ আগস্ট সাতক্ষীরার কুকড়ালি গ্রাম থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শেখ মোখলেছুর রহমান জনিকে বিনা অভিযোগে আটক করে পুলিশ। এরপর ৫,৬ ও ৭ তারিখ জনিকে থানায় গিয়ে ভাত খাইয়ে আসেন তার মা এবং স্ত্রী । কিন্তু ৮ আগস্ট থেকে জনির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জনির স্ত্রী জেসমিন নাহার থানা থেকে তার স্বামীর নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, জনি থানায় নেই,সে কোথায় আছে জানেন না। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে জনির স্ত্রীকে হুমকি দেয় থানার এক কর্মকর্তা। এমনকি জনির নিখোঁজের বিষয়ে কোনও জিডি বা মামলাও নেয়নি পুলিশ। 

স্বামীর খোঁজ করতে গিয়ে জেসমিন পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিজিএফআই (গোয়েন্দা বিভাগ), খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির কাছে আবেদন করেও কোনও সদুত্তর পাননি। তাই সব শেষে দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের।

গত ১৯ মার্চ হাইকোর্টে এ সংশ্লিষ্ট একটি রিটের শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এবং এসপিকে জনিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।