সংসদে বিদ্যুৎ বিল পাস

 


জাতীয় সংসদ অধিবেশন (ছবি-ফোকাস বাংলা)বিদ্যুৎ চুরির সাজা বৃদ্ধি, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার এবং সেবা নিশ্চিত করতে সংসদে নতুন বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার  (২২ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সংক্রান্ত ‘বিদ্যুৎ বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়।








এর আগে গত ১৪ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯১০ সালের ‘ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট’ সংশোধন করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রতিষ্ঠান করার কথাও এতে বলা হয়েছে।

এই বিলে বিদ্যুৎ চুরির জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা চুরি হওয়া বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার (যেটা বেশি হয়) বিধান রাখা হয়েছে। আগে এই অপরাধের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

চুরি ঠেকাতে বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে বিলে, যা আগের আইনে ছিল না।

এছাড়া, বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বিলে। এতে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও কাজ সম্পাদনকালে লাইসেন্সি কোনও ক্ষতি, অনিষ্ট বা অসুবিধার সৃষ্টি করলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে, অথবা বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত জমির জন্য ভূমির মালিককে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দেবে।

বিলে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সমন্বিত আকারে পরিচালনা করতে সরকার একটি স্বতন্ত্র সিস্টেম অপারেটর প্রতিষ্ঠা করবে। এই অপারেটর নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রবাহ মনিটরিং, সিডিউলিং এবং মেরিট ডেসপাস ও বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ন্যায় পরায়ণতার ভিত্তিতে লোড বরাদ্দ করবে।