সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। আগামী ৩১ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবিও তুলে ধরা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসন ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ, সক্রিয় সব ছাত্র সংঘঠনের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ও দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অবিলম্বে পরিবেশ পরিষদ চালু করা, অবিলম্বের ডাকসু নির্বাচন তফসিল ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম সুমন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত ১৫ জানুয়ারি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থী মাননীয় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা উপাচার্যকে উদ্দেশ করে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। পরে উপাচার্য তাদের ভেতর থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। ফলে বিভিন্ন হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে ভীড় জমাতে থাকে। একপর্যায়ে দুই দল সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। যার ফলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পণ্ড হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় নামধারী আন্দোলনাকারী বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘এরপর ঢাবি কর্তৃপক্ষ ৫০ জন ভাঙচুরকারীর নামে অজ্ঞাত মামলা করে। যার ফলশ্রুতিতে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অপ্রীতিকর ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় এই দুই সংঘঠনের নেতারা ঢাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়, লাঞ্ছিত করা হয়। সেই খবর সাধারণ শিক্ষর্থীদের কানে পৌঁছালে তারা উপাচার্যকে উদ্ধার করেন। যার ফলে আন্দোলনরত দুই দলের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা দুই পক্ষের সংঘর্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেয়। যার ফলে আন্দোলনরত দুই বাম দলের নেতারা ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর চড়াও হয়। এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন আহত হন। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছাত্রী বোনদের ওপর নির্যাতন চালায়।’