রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ

বঙ্গভবন (ছবি-ইন্টারনেট থেকে)দেশে ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও প্রত্যাহার চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকে করে নোটিশটি পাঠান আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আবদুল হামিদ বর্তমান সংসদের মাধ্যমে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সেই হিসাবে তার মেয়াদ চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পূর্ণ হবে। কিন্তু সংবিধানের ৫০ (১) এ বলা আছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন। আবার সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে অথবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি ফের কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও বলা হয়, সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে ওই পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে শর্ত থাকে, যে সংসদের দ্বারা তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সেই সংসদের মেয়াদকালে রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হলে সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শূন্য পদ পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির শূন্য পদ পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩১, ৫০, ৫৪ অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাই ঘোষিত তফসিল বাতিলযোগ্য।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকার, আইন সচিব, কেবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, নোটিশ জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করবো।