বঙ্গবন্ধু আরও ৩-৪ বছর সময় পেলে দেশ পিছিয়ে থাকতো না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি আরও ৩-৪ বছর সময় পেতেন তাহলে দেশ আজ পিছিয়ে থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি বিধ্বস্ত দেশকে দাঁড় করাতে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি যদি আরও ৩-৪ বছর সময় পেতেন তাহলে দেশ পিছিয়ে থাকতো না, এগিয়ে যেতো। তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের জীবন থেকেও ২১ বছর ঝরে গেছে নিষ্ফলা হিসেবে।’

রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে কীভাবে পরিচালিত করতে হবে তার দিকনির্দেশনা তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি প্রথম শিক্ষা ব্যবস্থায় হাত দেন। তিনিই প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করেন। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যেখানে শিক্ষার কথা উল্লেখ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। আমরা তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেক বিদ্যালয় জাতীয়কারণ ও শিক্ষকদের চাকরি সরকারি করেছে। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের কোন কোন গ্রামে স্কুল প্রয়োজন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ সে বিষয়ে একটি জরিপ করেছিলাম। সেই ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার স্কুল করেছিলাম। আমরাই এক একটি জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত করে সরকারিভাবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তবে আমরা দেশের উন্নয়নে যখনই কাজ করি তখনই একটি আঘাত আসে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই আঘাত শুরু হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দিতেই সেই ব্যবস্থা শুরু করেন। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বলতে যদি তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দেওয়াকে বোঝান, তাহলে এখানে আমার কিছু বলার নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তিনি যদি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারতেন তাহলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে আজ অনেক উন্নয়ন হতো। ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষারও ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। এটা ছাড়া কোনও জাতি শিক্ষিত হতে পারে না, এগিয়ে যেতে পারে না। ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন বঙ্গবন্ধুর হাতে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় পাননি। তার আগেই তাকে হত্যা করা হয়।’

আরও পড়ুন:
তৃণমূলে চার নির্দেশনা আ. লীগের