‘ভিআইপি লেন মানে জরুরি সেবা, ভিআইপিদের সেবা নয়’

ওবায়দুল কাদেরসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিআইপি লেন মানে জরুরি সেবা, ভিআইপিদের সেবা নয়।  জরুরি সেবার জন্য এই লেন করা যায়, তবে ভিআইপিদের সেবার জন্য নয়। ধীরে ধীরে ভিআইপি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিআইপি লেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলাদা ভিআইপি লেন করার বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। সেটি আমরা পেয়েছি। এর সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রাস্তায় ভিআইপি লেনের জন্য স্থান সংকুলান নেই। তারপরেও জরুরি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা লেন করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

তবে ভিআইপি লেন মানে জরুরি সেবা, ভিআইপিদের সেবা নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবার জন্য এই লেন করা যায়, তবে ভিআইপি সেবার জন্য নয়। ধীরে  ধীরে ভিআইপি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা যারা পলিটিক্যালম্যান, তাদের জন্য রাস্তায় ভিআইপি কালচার আইন করে করা হবে না। ’

কয়েকদিন আগে সিলেটে একটি প্রোগ্রামে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৯ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে।  আর আপনি এর আগে বলেছিলেন ২০১৮ সালে এ সেতুর কাজ শেষ হবে। কোনটি সঠিক? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তো আমি, অর্থমন্ত্রী নয়। অর্থমন্ত্রী যা-ই বলুক না কেন, আমরা ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতু চালু করবো। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন,  ‘আগামী মার্চে পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান উঠবে। এটি ওঠার পর বাকিগুলো পরপর উঠে যাবে। আমরা এখনও আশা করি, ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে।’

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়া ও দুর্নীতি বিষয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করেন তিনি। দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমি আমার কথা বলতে পারি, কোনও দুর্নীতি হলে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বলুন। শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সে অবস্থান করছে।’

আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজদের কোনও ছাড় দেয় না- এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন,  ‘দুদকের মামলায় বর্তমান সরকারের দু’জন মন্ত্রী আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। একজন এমপি হত্যা মামলায় জেলে আছেন। একশ’র ওপরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আছেন। একজন মেয়র কারাগারে আছেন আওয়ামী লীগের। এমন নজির বিএনপির শাসন আমলে কেউ দেখেনি।’