ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়তে চায় সরকার

বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ত্রাণ ও সহায়তার সম্পর্কের পরিবর্তে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় সরকার।  এই লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে চাই। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এই দেশগুলোর মধ্যে পাচঁটির সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি। এই দেশগুলো হলো—যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড ও সুইডেন। এছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। আমরা এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই।’

এর আগে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও সুইডেন সফর করেছেন। এছাড়া গত দুই মাসে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ঢাকা সফর করেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউরোপ আমাদের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক অঞ্চল, যেখানে আমরা ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রফতানি করি। এছাড়া যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্য দেশগুলো বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়া থেকে আমরা কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ অন্য আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউরোপের রাজনৈতিক শক্তির প্রতিও আমাদের লক্ষ আছে। আমরা তাদের ওই সমর্থন আদায়ের জন্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।’

উদাহরণ হিসাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পরে গোটা ইউরোপে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হয়েছে। এখনও হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে একাধিকবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজ্যুলেশনও আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়। ইউরোপের কোনও দেশ যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন ওই রাষ্ট্রটি মিয়ানমারের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এখানে দেখার বিষয় অন্য একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে হলেও ইউরোপের দেশগুলো আমাদের প্রয়োজনে সাড়া দিয়েছে।