জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।
সুযোগ থাকলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকে একনম্বর আসামি করা এবং জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দিয়ে বিচার করার দাবি জানান শেখ সেলিম।
তিনি দাবি করেন, ‘‘কথা আছে যে, ওই সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামি কর্নেল ফারুক ও মেজর ডালিম ঢাকায় ছিল। অন্য নামে তাদের ঢাকায় আনা হয়। হামলা শেষে ওই রাতে তাজুল ইসলামসহ চার জনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ডিজিএফআইয়ের রুমি খালেদা জিয়াকে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, এদের কী করে পাঠানো হয়।’ জবাবে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘চুপ করো। তুমি এর ভেতরে নাক গলাবা না।’ এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিল। বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করবো, যদি কোনও সুযোগ থাকে খালেদা জিয়াকে একনম্বর আসামি করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার তরান্বিত করুন।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দাবি নাকচ করে দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন আলোচনার কথা বলেন। কিসের আলোচনা, কার সঙ্গে আলোচনা। খুনি সন্ত্রাসীর সঙ্গে আলোচনা? স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীদের সাসঙ্গে কোনও আলোচনা আওয়ামী লীগ করবে না।’
বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না দাবি করে তিনি বলেন, ‘তোরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে সামরিক শাসক দিয়ে পাঁচ বছর দেশ চালিয়েছিস। বিএনপি কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র আছে বলেই-তো তোরা কথা বলতেছিস। ওই যে কথা বলতেছিস, টেলিভিশনে সরকারের বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ করিস, মিথ্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করিস।’
বিদেশিদের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়। নালিশ করে। ওরা কারা? আমার দেশের গণতন্ত্র আমার দেশের জনগণ ঠিক করবে। অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করবে না।’