চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম ও ইফাদ সভাপতি গিলবার্ট এফ. হুয়াংবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
চুক্তিস্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। তিনি জানান, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয়টি জেলার দুস্থ জনগণের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্য সংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। জেলাগুলো হলো— পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও জামালপুর। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর কাজ শুরু হবে এ বছরেই।
এর সুবাদে ওই ছয়টি জেলার ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মূল ব্যয়ের ৬৩.২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও ১.২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে দেবে ইফাদ। বাকি ২৭.৯ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকার।’
পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, মঙ্গলবার ইতালির রোমে ইফাদ গভর্নিং কাউন্সিলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইফাদকে অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিভিন্ন দেশ। তাদের মধ্যে সর্বাধিক ৯ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। বাংলাদেশ ১৫ লাখ ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। এসব অর্থ অনুদান ও ঋণ হিসেবে ব্যবহার করবে ইফাদ।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার ও প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, ইফাদ সদর দফতরে এই সংস্থার সভাপতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তাদের আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যুও। শহিদুল হক বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ইফাদ সভাপতি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এ দেশ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তিনি দুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ইফাদ সভাপতি। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।”
সূত্র: বাসস