শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার

শব্দ দূষণ, ফাইল ছবিপরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সংসদে রবিবার সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ জারি করেছে।পাশাপাশি এ নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গাড়িচালক ও ছাত্র-ছাত্রীসহ ১৯ হাজার ৯৪৪ জনকে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে পরিবেশ অধিদফতর, বিআরটিএ ও বাংলাদেশ পুলিশকে ২৩০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টেলিভিশন ও রেডিওতে শব্দ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে টেলিভিশন সিরিয়াল (টিভিসি) নির্মাণ ও প্রচার, আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন, সচেতনতামূলক উপকরণ বিতরণ, অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শব্দ দূষণ ও নিয়ন্ত্রণে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।এ কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে ১১৩টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

সংসদে তিনি আরও বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদফতর, বিআরটিএ এবং ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারী বা শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। খবর বাসস।