শাবিতে ড. জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত

বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল (ফাইল ছবি)
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় গতকাল শুক্রবার থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছিল। গতকাল বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে এর উদ্বোধন করেছিলেন ড. জাফর ইকবাল। আজ শনিবার বিকালে এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. রাশেদ তালুকদার জানিয়েছেন, মুক্তমঞ্চ এলাকায় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ড. জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত করা হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাকি বহিরাগত তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

ড. জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নাল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্যারকে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার রাশেদুন্নবীর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুল ওহাব বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। হামলাকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আটক করেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আমরা তার পূর্ণ পরিচয় জানতে চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াসুর রহমান বিশ্বাস হাসপাতালে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জাফর ইকবাল স্যার এখন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আসছেন। তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরসহ অন্যরাও আসছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে ছেলেটি স্যারকে আঘাত করেছে, তার রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘এ’-এর সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।