হতাহতদের ৪৬ স্বজন নেপালে পৌঁছেছেন

বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষবিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের ৪৬ জন আত্মীয়কে নিয়ে নেপালে পৌঁছেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। নেপালের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টা ২ মিনিটে স্বজনদের বহনকারী উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১২ মার্চ) প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে নেপালে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।  এয়ারলাইন্সটির সাতজন কর্মকর্তাও এই ফ্লাইটেই নেপাল গেছেন।

ইউএস-বাংলা’র জিএম কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৪৬ জনকে নেপালে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নেপালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, মরদেহ দেশে আনা, আহতদের চিকিৎসার কার্যক্রম তদারকি করবেন তারা।’ 

ইউএস বাংল’র বিধ্বস্ত বিমানের কেবিন ক্রু নাবিলার ভাসুর বেলাল হোসেন ভূইয়াও গেছেন নেপালে। বিমানবন্দরে তার সঙ্গে কথা হয় প্রতিনিধিদের। তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছিলাম নাবিলা এই বিমানে ছিল। কিন্তু ইউএস বাংলা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। ফলে আমি যাচ্ছি, নিশ্চিত হতে। অনেক আশা নিয়ে যাচ্ছি, দেখা যাক কী হয়।’

বৈশাখী টিভির রিপোর্টার ফয়সাল আহমেদের মামা কায়কোবাদ বলেন, ‘ফয়সালের খবর আগেই জেনেছি। আশা নিয়ে যাচ্ছি, এখন আর কথা বলার সময় নেই। যাচ্ছি, দেখা যাক কী হয়।’ প্রসঙ্গত, সোমবার চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাসূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।

প্রসঙ্গত, সোমবার চার জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাসূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।