আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম শোকে বাকরুদ্ধ। স্বামীর মরদেহ দ্রুত ফেরত পাওয়াই এখন তার চাওয়া। স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তানজিদ সুলতানকে নিয়ে উত্তরার বাসায় থাকতেন ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান।
চাকরি নিয়ে আবিদ সুলতানের কোনও ক্ষোভ ছিল কিনা জানতে চাইলে আফসানা খানম বলেন, ‘আমরা তাকে স্বাভাবিক দেখেছি। অফিসে কোনও ঝামেলা ছিল কি না, জানা নেই। এটা অফিসের লোকজন ভালো বলতে পারবেন।’
আবিদ সুলতানের ভাই খুরশিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনেক পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন রকমের খবর দেখছি। তবে আমার ভাই স্বাভাবিক ছিলেন, ইউএস বাংলার চাকরি নিয়ে তার মধ্যে ক্ষোভের কিছু দেখিনি। আমাদের এখন একমাত্র চাওয়া দ্রুত আবিদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’
মঙ্গলবার ক্যাপ্টেন আবিদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে যান ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন আবিদ খুবই দক্ষ একজন পাইলট। অনেক বলছেন তিনি চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন; কিন্তু এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা পাইলটসহ অন্যদের খোঁজ নিতে নেপালে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’