পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন, বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতিবেদন চেয়েছে মন্ত্রণালয়

খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফাইল ছবি)দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের জন্য সময়সীমা জানানোর আগে সীমানা সংক্রান্ত কোনও জটিলতা আছে কিনা তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বিভাগীয় কমিশনারদের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। বুধবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে জানতে চেয়েছি এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের কোনও মামলা-মোকদ্দমা আছে কিনা? তফসিল, ভোটার লিস্ট, জমি মিউটেশনে সমস্যা থাকে বা যদি কোনও মামলা-মোকদ্দমা থাকে, তাহলে আমরা নির্বাচন করতে পারব না। তাই এই রিপোর্টটা পেলেই আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব তাদের সুবিধামতো তারা নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’

সরকার সঠিক সময়ে নির্বাচন চায় উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে। তবে মামলা-মোকদ্দমা বা হাইকোর্টের কোনও আদেশ থাকে, তাহলে তো সেগুলো ক্লিয়ার না করে করতে পারব না। সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। যদি নির্বাচন না করি, তাহলে আইনের পরিবর্তন করতে হবে। আমরা চিন্তা করছি বাধাটা কোথা থেকে আসতে পারে। এ জন্যই বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।’

বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতিবেদন কবে নাগাদ আসতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সাত-আট দিনের মধ্যেই আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাবো।’

নির্বাচনের কোনও পছন্দের তারিখ আছে কিনা জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এমন কোনও তারিখ নেই। রিপোর্টটা পেলেই আমরা ইলেকশন কমিশনকে বলব তাদের সুবিধামতো নির্বাচন করতে পারে। তারা যদি পারে একসঙ্গে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করুক। আর যদি তা না হয়, তারা আলাদা করে করতে চায়, তাহলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।’

সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছর। পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, সিলেটের ৮ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।

এসব সিটি করপোরেশেনের নির্বাচনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মত জানতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। দলীয় প্রতীকে হবে এ নির্বাচন।

এ বছরই হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে এই সিটি নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।