বিমান বিধ্বস্ত: যেভাবে লাশ গ্রহণ করা যাবে

নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসনেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের শনাক্ত করা লাশ আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। কীভাবে লাশ গ্রহণ করা যাবে তাও তুলে ধরেন তিনি। বুধবার (১৪ মার্চ) নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, শনাক্ত করা লাশগুলো আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের আগে স্বজনরা যদি লাশ দেখতে চান, সেক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।

তিনি জানান, শনাক্ত করা লাশগুলো প্রথমে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস গ্রহণ করবে। এরপর তা নেপালেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেউ লাশ বাংলাদেশে গ্রহণ করতে চাইলে তাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে গ্রহণকারীর নাম আগেই জানিয়ে রাখতে হবে।

মাশফি বিনতে শামস বলেন, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য স্বজনরা নির্বাচন কমিশনের মতো সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলোর কাছে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও অন্যান্য নথির জন্য আবেদন করতে পারেন।

তিনি আরও জানান, ১০ সদস্যের একটি বাংলাদেশি চিকিৎসকের দল বৃহস্পতিবার নেপাল পৌঁছাবে। নেপালি চিকিৎসকদের সহায়তা দিতেই তারা আসছেন।

গত সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ৪ ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এতে নিহত হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে পুড়ে যাওয়া লাশগুলো খালি চোখে শনাক্ত করা কঠিন বলে এর আগে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।