ইউএস-বাংলার কাগজপত্র জব্দ

ইউএস-বাংলানেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফ্লাইট ও পাইলট সংক্রান্ত সব কাগজপত্র জব্দ করেছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।  দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের জন্য এসব নথি তদন্ত কমিটিকে সরবরাহ করা হবে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার দিনই ইউএস-বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট ও ফ্লাইটের পাইলট সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ইউএস-বাংলা  এয়ারলাইন্সের কাছেও থাকা বিমান, পাইলট সংক্রান্ত  কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে।’

এদিকে,  তদন্তে নেপালের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। নেপালের সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে হচ্ছে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নামের তালিকাও পাঠিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। সিভিল এভিয়েশন অথরিটির এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নেপালের তদন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আমাদের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এজন্য ৬ সদেস্যর নামের তালিকাও নেপালে পাঠানো হয়েছে। ’

তদন্তের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানের ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। ব্ল্যাকবক্সের  ফ্লাইট ডাটা রের্কডার (এফডিআর) ও ককপিট ডাটা রেকর্ডার (সিভিআর)সহ  অন্য তথ্য ডি-কোড  করে বিশ্লেষণ করা হবে। প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করা হবে। ককপিটে পাইলট, কো-পাইলটের সঙ্গে কী কথা বলেছেন, এয়ারট্রাফিকের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ককপিটের অপারেশন কী ছিল, সময় ধরে ধরে প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করা হবে।  ফ্লাইট ডাটা রের্কডারের তথ্যের সঙ্গে  ককপিট ডাটা রেকর্ডারের তথ্য, এয়ারট্রাফিকের রের্কড—সব মিলিয়ে দেখা হবে। এ কাজটি করতে সময় প্রয়োজন। একইসঙ্গে পাইলট, কো-পাইলটের লাইসেন্সসহ অন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। বিমানটির মেইন্টেন্যান্সসহ অন্য বিষয়গুলোও তদন্তে বিবেচনা করা হবে।’

এদিকে সিভিল এভিয়েশনের  আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নেপাল সিভিল এভিয়েশনকে জানিয়েছি, তাদের কী কী তথ্য দরকার। তাদের চাহিদামতো সব তথ্য তদন্তকারী দলকে দেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন মারা যান। এর মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।