ফারুক হোসেন পর্যটক হিসেবে স্ত্রী ও শিশুকন্যাসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা। নেপাল ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ফারুক হোসেন প্রিয়ক এবং তার তিন বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা প্রিয়ংময়ী তামাররা। মেহেদী তার স্ত্রী স্বর্ণা ও অ্যানিকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর তাদের কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেশের ফেরার পর তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে।
গত সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা’র একটি বিমান ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়।তাদের মধ্যে একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০৭২) নেপাল থেকে শাহরিন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।