৮ জন ছাড়া বাকি লাশগুলোকে চেনার উপায় নেই: বিমানমন্ত্রী

ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বলছেন বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের প্রসঙ্গে বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বলেছেন, ‘আমি আট জনের লাশ দেখেছি, যাদের চেনা যায়। বাকিদের চেনার উপায় নেই।’ শুক্রবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আহত শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবি আলমুন নাহার অ্যানিকে দেখতে যান এই মন্ত্রী।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের জন্য সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন একেএম শাহজাহান কামাল। তার কথায়, ‘আইন অনুযায়ী সবাই ক্ষতিপূরণ পাবে। আমরা সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করবো। যারা আহত হয়েছেন তাদেরও সহায়তা করা হবে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে বলেছি, হতাহতদের যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তার ভাষ্য, ‘ফ্লাইট দুর্ঘটনার নিয়মানুযায়ী আমরা তদন্ত করে দেখছি। এরপর সব জানাতে পারবো।’

নেপালের পাঁচ জনের অবস্থা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “তিন জনের অবস্থা এখন ভালোর দিকে। নেপালের চিকিৎসকরা বলেছেন, বাকি দু’জন আইসিইউতে আছে। একজনের জ্ঞান ফিরেছে। তার সঙ্গে চিকিৎসকরা কথা বলেছেন। আরেকজনের এখনও জ্ঞান ফেরেনি।”

আহত শাহরিন আহমেদের খোঁজ নিচ্ছেন বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালগত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৫১ জন নিহত হয়েছেন।

ওই উড়োজাহাজে থাকা ৩২ যাত্রীসহ ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজন নেপাল কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ইয়াকুব আলী ও ইমরানা কবীর হাসিকে শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কাঠমান্ডুতেই রেখে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।