এছাড়া শনিবার থেকে নিহতদের শনাক্তকরণ শুরু হবে। যাদেরকে শনাক্ত করা যাবে, প্রথম ব্যাচে মঙ্গলবার তাদের লাশ ঢাকায় আনা হবে। আর যাদের শনাক্ত করা যাবে না তাদের ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এজন্য তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে ১০ থেকে ১২ জনের ডিএনএ টেস্ট করা লাগতে পারে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাশ পরিস্কার ও কফিনে রাখার জন্য একদিন সময় লাগবে। তবে আত্মীয়দের পক্ষ থেকে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা দূতাবাসে সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হয়। এ কারণে লাশ দেশে পাঠাতে আরও সময় লাগতে পারে বলে তাদের জানান রাষ্ট্রদূত। তখন আত্মীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেপাল কর্তৃপক্ষ লাশগুলো সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করবে। ঢাকায় আনার পর আত্মীয়রা তাদের গ্রহণ করবেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য নেপালে অবস্থানকারী সব আত্মীয়দের একটি ফর্ম দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে কে লাশ গ্রহণ করবে সেখানে তা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। আর লাশ গ্রহণ করার সময় ওই ফরম ছাড়াও কাস্টমস থেকে দেওয়া ফরম ও মৃত্যুসনদ প্রয়োজন হবে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে আত্মীয়দের কাছে কাস্টমস ফরম দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আত্মীয়দের জানান, ইউএস বাংলার বিমানে করে লাশগুলো নেপাল থেকে দেশে নিয়ে আসা হবে।