‘কাজের মাধ্যমে স্মরণীয় হতে চেয়েছিলেন প্রিয়ক’

 


ফারুক হোসেন প্রিয়কমৃত্যুর আগমুহূর্তে ফারুক হোসেন প্রিয়ক স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানির কাছে বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বের কাছে এমন কিছু হতে চাই যেন সারাপৃথিবীর মানুষ আমাকে মনে রাখে।’
এর কিছুক্ষণ পরই্ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে।
গত সোমবার (১২ মার্চ) নেপালে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিয়ক ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামররাসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রিয়কের স্ত্রী এ্যানি।


শনিবার (১৭ মার্চ) প্রিয়কের বড় ভাই লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ্যানি বারবার স্বামী সন্তানের খোঁজ করছে। সে জানায়, আ মি বুঝতে পেরেছিলাম প্লেন ক্র্যাশ হবে। আমাদের তখন সিট বেল্ট বাঁধতে বলে। কিন্তু বাঁধতে পারিনি। তার আগেই প্লেন ক্র্যাশ হয়।’

প্রিয়ক স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক ভালো করার স্বপ্ন ছিল।’
কিন্তু তার স্বপ্ন বাস্তবে পূরণ হলো না। প্রিয়কের পরিবারে শুধু মা আছেন। বাবা আগেই মারা গেছেন। কিছুদিন আগে ভাই পানিতে পড়ে মারা যান।