উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে ইমরানা কবীর হাসি

73e0e513e41c9117c1531b56ded3330e-5aad589f44fd9

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ইমরানা কবীর হাসিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রিভুবন বিমান বন্দরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছেছে। হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দর নেওয়া হচ্ছে রোগীকে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টা দিকে  বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসির দেবর সামির।

তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছেছে। রোগীকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হচ্ছে।’

নেপালে অবস্থানরত চিকিৎসক টিমের সদস্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডা. হোসাইন ইমাম জানিয়েছেন, ‘শনিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ইমরানা কবীর হাসিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।’

এদিকে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাত জনকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মো. রেজওয়ানুল হককে 
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা মো. মোজাম্মেল হক।  এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার শাহরিন আহমেদ, শুক্রবার মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি এবং শনিবার বিকালে  রুবায়েত কাঠমান্ডু ছেড়ে ঢাকায় গেছেন। 

সর্ব শেষ ইমরানা কবীর হাসি নেপাল ছেড়ে যাওয়ার পর বর্তমানে কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে  আহত তিন বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানটিতে চার জন ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৪৯ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির ৪ জন ক্রুসহ  ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও চীনের একজন যাত্রী রয়েছেন। আহত ২২ জন আরোহীর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১১ জন নেপালি ও একজন মালদ্বীপের।