‘একসঙ্গে ১৫টির বেশি লাশ আনার সক্ষমতা ইউএস-বাংলার নাই’

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত (ছবি: ইন্টারনেট থেকে)

নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের মরদেহ আগামীকাল সোমবার দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এসব মরদেহে দেশে নিয়ে আসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তবে সবগুলো মরদেহ একসঙ্গে আনা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একসঙ্গে ১৫টির বেশি মরদেহ আনার সক্ষমতা নেই।

রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ওই ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ তথ্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত ছিলেন।  

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহত ২৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি ৯ জনকে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশে  লাশ আসবে। তবে কখন কতজনের লাশ আসবে তা এখনও নিশ্চিত নই। লাশ আনার ব্যবস্থা ইউএস-বাংলা করছে। তবে একসঙ্গে ১৫টির বেশি লাশ আনার সক্ষমতা ইউএস-বাংলার নাই। সেক্ষেত্রে তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলছে। তবে লাশ ফেরত আনার বিষয়টি  নেপালের অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল। সেখানে বাংলাদেশ হাই কমিশন ভালো কাজ করছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই মহাপরিচালক ব্রিফিংয়ে জানান, ‘এখন বাংলাদেশে ৫ জন  চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ মুমু (৩০), মেহেদী হাসান সুমন (২৯), সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা (২২), আলমুন নাহার অ্যানি (২২ ) এবং রুবায়েত (৩২)। তারা সবাই ভালো আছেন। শাহিন ব্যাপারী নামে আহত অপর একজনের আজকে দেশের আসার কথা। হয়তো  ইতোমধ্যেই চলে এসেছেন। তিনিও ডিএমসিতে ভর্তি হবেন।’

তিনি  বলেন, ‘ আহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক এখন সিঙ্গাপুর আছেন। তারা হলেন ডা. রেজওয়ান ও ইমরানা কবীর। গতকালই তারা নেপাল থেকে সিঙ্গাপুর গেছেন। আর ইয়াকুব আলী নামে একজনকে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের ইচ্ছায়ই তাদের বিদেশে নেওয়া হচ্ছে।