‘পৃথুলাকে চিনতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। এক ঝলক দেখেই তাকে চিনতে পারি’-ভারাক্রান্ত কণ্ঠে এ কথা বলেন তার নানা এম এ মান্নান খান। সোমবার আর্মি স্টেডিয়াম থেকে পৃথুলার মরদেহ রাজধানীর শ্যামলীর আশা টাওয়ারে (পৃথুলার মায়ের কর্মস্থল) আনার পর স্মৃতিকাতর হয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে কো-পাইলট পৃথুলা রশিদের নানা এ কথা বলেন।
পৃথুলাকে আগারগাঁওয়ের তালতলা সরকারি কবরস্থানে তার দাদা, দাদি ও ফুপুর কবরের পাশে দাফনের কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। কেন এই পরিবর্তন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পৃথুলাকে দাফন করলে ২৫ বছর কবর সংরক্ষিত থাকবে, সরকারিভাবে পাওয়া এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’
আরও পড়ুন: শেষ দিন পৃথুলার সঙ্গে যাননি বাবা
এর আগে, নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের লাশ জানাজা শেষে সোমবার বিকালে আর্মি স্টেডিয়ামে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশগুলো জানাজা ও আনুষ্ঠানিকতার জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ মার্চ) চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় এতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ২৬ জন।