আসাদুজ্জামান নূর, শাইখ সিরাজও পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার

আসাদুজ্জামান নূর ও শাইখ সিরাজজাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সাবেক স্পিকার প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হিসেবে আগরতলা মামলার আসামি প্রয়াত সার্জেন্ট জহরুল হকসহ বিশিষ্ট ১৬ জনের সঙ্গে আসাদুজ্জামান নূর ও শাইখ সিরাজও পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য আসাদুজ্জামান নূর এবং কৃষি সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় শাইখ সিরাজকে এই পুরস্কার দেবে সরকার।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার এর আগে (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৮-এর জন্য মনোনীত ১৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই বিশিষ্ট ১৬ নাগরিকের সঙ্গে আসাদুজ্জামান নূর ও শাইখ সিরাজ— এই দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকেও গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে ১০ জনকে দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর পুরস্কার। আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার দেবেন।
এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ বছরের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর সম্মাননা পাচ্ছেন সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন। এছাড়া মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী এমএমএ রাশীদুল হাসান, বঙ্গবন্ধুর সহচর ও সাবেক সংসদ সদস্য শংকর গোবিন্দ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সাংসদ এম আব্দুর রহিম, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ভূপতি ভূষণ চৌধুরী (মানিক চৌধুরী)।
মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে আরও রয়েছেন—শহীদ লেফটেন্যান্ট মো. আনোয়ারুল আজিম, শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিউর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক এবং কাজী জাকির হাসান।
বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম এবং সাবেক কূটনীতিক আমজাদুল হকও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ বছর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
এছাড়া চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. একেএমডি আহসান আলী, সমাজসেবায় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, সাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ড. মো. আব্দুল মজিদ এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে। এই পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।