‘এমবিবিএস পরীক্ষার ফল জানার আগেই চলে গেলেন পিয়াস’

 

পিয়াস রায়নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই তিনি পরপারে চলে গেছেন। ফল দেখে যেতে পারেননি। এমনটাই আফসোস করে জানালেন তার সহপাঠী জাফর। পিয়াস রায়ের লাশ নিতে এসে অপেক্ষা করছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে। তার সঙ্গে আছে পিয়াস রায়ের আরেকজন সহপাঠী শারমিন রহমান।

জাফর বলেন, ‘পিয়াস অনেক এমবিশিয়াস ছেলে ছিল। অনেক ভালো ছাত্র ছিল। ঘুরতে খুব পছন্দ করতো। পরীক্ষা শেষ করেই নেপাল চলে গেছে। আমি জানতাম না। পরদিন ফেসবুকে চেক ইন দেখলাম, সে নেপাল যাচ্ছে। দুর্ঘটনার পর জানতে পারলাম, সে একই ফ্লাইটে ছিল।‘

শারমিন জানান, আমরা পরীক্ষা দিয়ে যার যার বাড়ি চলে গেছি। পিয়াস নেপাল যাবে জানতাম। এই ফ্লাইটে যাবে জানতাম না। সে অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল। বরিশাল বোর্ডে এসএসসিতে প্রথম হয়েছিল। মেডিসিন নিয়ে পড়তে চেয়েছিল। আর হলো না।

স্বজনদের সঙ্গে পিয়াসের বাবাএদিকে এয়ারপোর্টের ৮ নম্বর গেটে পৌঁছেছেন পিয়াস রায়ের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি গত পরশু দিন নেপাল থেকে আসছি। বুধবার লাশ শনাক্ত হয়েছে। ইউএস বাংলার পক্ষ থেকে আজকে বিকাল ৪টায় এখানে থাকতে বলা হয়েছে। এখানে থেকে লাশ নিয়ে আগে যাবো গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা মেডিক্যাল কলেজে। পিয়াসের বন্ধুরা অনেক অনুরোধ করেছে, সেখানে নিয়ে যেতে। সেখান থেকে বরিশাল নিয়ে যাবো।’

বরিশাল শহরের শ্মশানে তার শেষকৃত্য হবে জানিয়েছেন স্বজনরা।

আরও পড়ুন:

নেপাল থেকে ৩ মরদেহ দেশে আসছে আজ

ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন পিয়াস