আগস্টে ফোরজি চালুর আশা টেলিটকের

সংসদীয় কমিটির বৈঠকরাষ্ট্রীয় মালিকানার মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক আগামী আগস্ট নাগাদ চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) নেটওয়ার্ক সেবা চালু করতে পারবে বলে আশা করছে। রবিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে টেলিটক একথা জানিয়েছে। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ও আর্থিক সক্ষমতায় টেলিটকের পক্ষে অন্যান্য বেসরকারি ফোন অপারেটরের মতো ব্যাপক পরিসরে এ সেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে করে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মোয়াজ্জেম হোসেন, শওকত হাচানুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং বিশেষ আমন্ত্রণে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অংশ নেন।

এর আগে গত জানুয়ারিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, এ বছরের মে মাসে টেলিটক ফোরজি সেবা চালু করবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে টেলিটক জানায়, শুরুতে টেলিটক নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে ফোরজি সেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। আর এ বছরের মধ্যে জেলা সদরগুলোতে এই সেবা চালু করা হবে, ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া, ২০১৯ সালে উপজেলা এবং ২০২০ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে এই সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে টেলিটকের।

বৈঠকে জানানো হয়, টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপনে এলজি ইউ প্লাস ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের একটি প্রস্তাব দিয়েছে।

জানতে চাইলে কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টেলিটক ফোরজি সেবা দিতে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাবের কথা কমিটিকে জানিয়েছে। কিন্তু কমিটি মনে করে এই বিনিয়োগে ফোরজি সেবা কোনোমতেই সম্ভব নয়। গ্রামীণফোন যেখানে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, সেখানে আমাদের ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কমিটি মনে করে ফোরজি সেবা নিশ্চিত করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কয়েকটি বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাদের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। আমরা বলেছি, দরকার হলে আপনারা শেয়ারবাজারে আইপিও ছাড়েন। অনেক অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। টেলিটকের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান কেন শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে না।’

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি দেশের সব জেলায় ইন্টারনেট চার্জ সমান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপি বিরোধী অভিযানে দুই লাখ ৬৮ হাজার ২১৫টি সিম জব্দ করা হয়।