নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন বাড়ি ফিরছেন

শাহরিনসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদ মুমু। আজ  রবিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।

তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শাহরিনকে নিতে এসেছেন মা ফেরদৌসী মোশতাক

এ ব্যাপারে শাহরিনের মা ফেরদৌসী মোশতাক জানান, শাহরিন এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে। আমরা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। গাড়ি এলেই রওয়ানা দেব।

শাহরিনকে বিদায় জানাতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলার কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শামীম।

শাহরিনকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ড. সামন্ত লাল সেন

এদিকে একই দুর্ঘটনায় আহত আলমুন নাহার এ্যানির বাবা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার মেয়েকে আরও এক সপ্তাহ হাসপাতালে রাখার কথা বলেছে চিকিৎসকেরা।’ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তার স্বামী ফারুক হোসেন প্রিয়কের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে, নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে কাঠমান্ডু থেকে এনে ১৫ মার্চ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ভিআইপি কেবিন-২ এ নেওয়া হয় তাকে।  শাহরিনের পায়ে একটা ফ্রাকচার ও শরীরে পাঁচ শতাংশ বার্ন ছিল।

রিলিজ লেটার

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এই ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ১৫ মার্চ বিকাল ৫টা ৪ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যালে এসে পৌঁছায়। এসময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এবং ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন তাকে রিসিভ করেন।