‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই প্রজ্ঞাপন’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনসরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। সরকার প্রধানের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়াটা এখন খুবই জরুরি। কবে নাগাদ প্রজ্ঞাপন জারি হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘যথাসময়েই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। তাড়াহুড়ার কিছু নেই। এখনই কোনও নিয়োগ হচ্ছে না। তাতে রাষ্ট্রেরও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে তার বক্তব্যে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বলেছেন, এটি কীভাবে কার্যকর হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তিনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই প্রজ্ঞাপন হবে। আমাদের পরবর্তী কাজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়া। অনেকেই এ বিষয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এটি অত সহজ বিষয় নয়। কিছুটা জটিলও। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর সবকিছুই কেটে যাবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। সেই প্রজ্ঞাপনে কী থাকবে, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিষয়টি কীভাবে থাকবে সেটি জানা যাবে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পর তারা যেভাবে বলবেন তার ওপর। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘উনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদধারী কর্মকর্তা। ওনার নির্দেশনা মাথায় রাখুন।’

আরও পড়ুন- 

আন্দোলন স্থগিত, শেখ হাসিনা ‘মাদার অব এডুকেশন’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কোটা বাতিলের ঘোষণা

কোটা কি পুরোপুরি বাতিল করা যায়?