এবার সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সাধারণ ভবিষ্যতের দিকে’ (টুয়ার্ডস কমন ফিউটার)। এতে বিশেষ মনোযোগ থাকবে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য উন্নতি, নিরাপত্তা, ন্যায্যতা এবং স্থায়িত্ব অর্জনে।
উদ্বোধনের পর কমনওয়েলথ নেতারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির ল্যাংকেস্টার হাউজে দেওয়া আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। এছাড়াও তারা বিকালে সেন্ট জেমস প্রাসাদে কমনওয়েলথ মহাসচিব আয়োজিত অপর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ল্যাংকেস্টার হাউজে কমনওয়েলথ নেতারা তিনটি কার্যনির্বাহী সেশনে অংশ নেবেন।
নিয়মানুসারে সিএইচওজিএম বৈঠকের আয়োজক দেশই এর সভাপতিত্ব করে। সিএইচওজিএম বৈঠকে আয়োজক দেশের কাছে কমনওয়েলথ’র সভাপতিত্ব স্থানান্তর করা হবে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেপ মাসকাটের কাছ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে এই সভাপতিত্ব স্থানান্তর হবে এবং ২০২০ সালে ২৬তম সিএইচওজিএম বৈঠক পর্যন্ত তিনি এ পদে থাকবেন।
২৫তম সিএইচওজিএম বৈঠকটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ভানুয়াটুতে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দ্বীপ রাষ্ট্রটি ঘূর্ণিঝড় পাম আক্রান্ত হওয়ায় এটি পরে ব্রিটেনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথম সিএইচওজিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে এবং এ পর্যন্ত এর ২৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় মাল্টার ভ্যালেটাতে। সাধারণত প্রতি দুই বছর অন্তর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: বাসস।
আরও পড়ুন-
আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর সাত দফা প্রস্তাব