পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বদলির আদেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ ইসির

 

 

নির্বাচন কমিশনপুলিশ সুপার পদ মর্যাদার পাঁচ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন স্থগিত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কর্মকর্তাকে সম্প্রতি তফসিল ঘোষিত গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনি এলাকায় বদলি/পদায়ন, বা ওই দুটি অঞ্চল থেকে অন্যত্র বদলি/পদায়ন করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের অনুমোদন ছাড়া এই বদলি-পদায়ন বিধিসঙ্গত হয়নি উল্লেখ করে ওই পাঁচজনের বদলি আদেশ স্থগিত করতে বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
এদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা চালিয়েছেন— গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গত ১৫ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে ২০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ পূর্বক পদায়ন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত ওই বদলি আদেশে ২০ জন কর্মকর্তার মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এদের মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. আবদুল্লাহ আরেফকে এসপি নৌ-পুলিশ, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হককে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) বিএম নুরুজ্জামানকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাফর হোসেনকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার এবং এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হককে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার পদে পদায়ন করা হয়েছে। দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় এ পাঁচজন কর্মকর্তার বদলিকে বিধি সম্মত হয়নি বলে ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বদলি আদেশ স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনি আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রজাতন্ত্রের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা পদায়ন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির বিধান রয়েছে।
এদিকে গাজীপুরের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থী নিজেও অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলে, তা তদন্ত করে কমিশনকে প্রতিবেদন দিতে গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।