ওআইসি সম্মেলন: অভ্যন্তরীণ সংস্কার, কনফ্লিক্ট সেন্টার ও রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে

ওআইসি

অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর আসন্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ। আগামী ৫-৬ মে ৫৭ সদস্য-রাষ্ট্র বিশিষ্ট সংগঠনটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। মন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠকে ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, একটি দেশের বিচারমন্ত্রী, ১০টি দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ৭টি দেশের পররাষ্ট্র সচিব অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। 

এবারেই প্রথমবারের মতো অসদস্য-রাষ্ট্র কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

এবারের বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওআইসিতে সংস্কার এবং সংস্থাটির নিজস্ব কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার খোলার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

তিনি আরও জানান, তুরস্কের পক্ষ থেকে সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং খোলার প্রস্তাব করলে এটি নিয়ে ওআইসির সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং আমরা আশা করছি এবারের মন্ত্রীদের বৈঠকে এটি অনুমোদিত হবে।

কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের অনুমোদন পাওয়া গেলে কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের মধ্যে একাধিক দেশ আছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত আছে এবং এ ধরনের একটি কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন সেন্টার এই সংঘাতকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।’

এছাড়াও এবারের বৈঠকে ওআইসির সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বড় আকারে আলোচনা হবে আশা করছেন কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আগে আলোচনাই করা যেত না কিন্তু পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে এখন সবাই আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন যে- পূর্বে ওআইসি কী করেছে এবং সেখানে কী ধরনের কমতি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওআইসি কী করবে এবং ভবিষ্যতে তার কী করা উচিত সেটি নিয়ে আলোচনা করতে এখন সবাই রাজি।’

জানা যায়, এবারের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি তিন পাতার রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হবে যেখানে এর বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে এবং সামনের দিনগুলিতে ওআইসি এ বিষয়ে কী ভূমিকা রাখবে সে বিষয়েও নির্দেশনা থাকবে।

কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, গত তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এবং শেষ কায়রো শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্যারা সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের বেগ পেতে হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দেশের চরম বিরোধিতার কারণে সেখানে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার নিয়েও আপত্তি ছিল। কিন্তু এই বিষয়ে একটি পৃথক শক্ত রেজ্যুলেশন গ্রহণ করার ব্যাপারে এবার ওআইসির সবাই একমত হয়েছে এবং আমরা আশা করছি ৪ মে অনেক দেশের মন্ত্রীরা কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে যাবেন।’