‘বিএনপি মিথ্যেবাদী দল’

সজীব ওয়াজেদ জয়

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে খালেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিয়ে দলটিকে ‘মিথ্যেবাদী দল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাবে বলে বিএনপির মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন জয়। তিনি জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিকানাধীন, যা টেলিটক, বিটিসিএল এর মতো শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

নিচে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া স্ট্যাটাসটি পুরোপুরি তুলে ধরা হলো:

‘খুলনা সিটি করপোরেশনের গতকালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র তালুকদার খালেককে অভিনন্দন।

বিএনপি পুরোদস্তুর একটি মিথ্যেবাদী দল। তারা প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করে আর ভাবে মানুষ এতটাই বোকা যে তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করবে।

তারা এখন খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে, যদিও তাদের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় প্রায় অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছেন। মোট ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র তিনটি অর্থাৎ ১ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে এবং উক্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছিল। বিএনপি কর্মীরাই বরং কেন্দ্রগুলো ভাঙচুর করেছে, আবার এখন তারাই এটা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।

আসলে, বিএনপি-ই এতদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। সকল নির্বাচনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হতো তাহলে ভোট জালিয়াতি অসম্ভব হয়ে পড়তো। তারপরেও তারা এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়েও তারা ব্যাপক মিথ্যাচার করছে। প্রথমে তারা বোঝানোর চেষ্টা করলো। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের দেশের তথ্য বিদেশিদের কাছে পাচার হয়ে যাবে। এই ধারনা একমাত্র অশিক্ষিত, মূর্খ লোকেদেরই হতে পারে। এখন আমরা অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করছি। এই স্যাটেলাইটগুলো বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন আমাদের নিজেদের স্যাটেলাইট থাকার কারণে বরং আমাদের তথ্য আরও নিরাপদ থাকবে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাস

দ্বিতীয়ত, তারা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিকানাধীন, যা টেলিটক, বিটিসিএল এর মতো শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটার মালিকানা অন্য কোনও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কথাটা আসলে টেলিটক বা বিমান বাংলাদেশকে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেওয়ার মতোই। আইনগতভাবে যা অসম্ভব। আবারও, শুধুই মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষেরাই এই ধরনের কথা বলতে বা বিশ্বাস করতে পারে।

বঙ্গবন্ধু-১ একটি বাণিজ্যিক টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটা অতিরিক্ত ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যাতে আমরা ট্রান্সপন্ডার বিক্রি করতে পারি এবং বাংলাদেশ সরকার এর থেকে আয় করতে পারে। যে কোনও প্রতিষ্ঠান এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার কিনতে পারবে। এটা অনেকটা বিটিসিএল বা টেলিটক এর কাছ থেকে সংযোগ ক্রয় করার মতো।

অবশ্য, যারা এতিমের টাকা চুরি করে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি। খালেদা জিয়ার বিচার হয়েছে, তিনি এখন জেল খাটছেন। তার জায়গায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন মনোনীত করেছে আরেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে। তাদের কোনও লজ্জা বা সততা নেই।

তারা শুধুই একদল বাটপার।’