সকাল থেকে ফাঁকা সদরঘাট, বিকালে চাপ বাড়তে পারে

ঈদের দিন (১৬ জুন) সকাল থেকেই মোটামুটি ফাঁকাই ছিল সদরঘাট। ভোরের দিকে কিছু যাত্রী নিয়ে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে যাত্রীদের চাপ। তবে লঞ্চের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ঈদের স্বাভাবিক চিত্র। বিকাল গড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ চেহারা পাল্টে যাবে। অনেকেই বসার আসন নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে লঞ্চের ডেকে জায়গা করে নিয়েছেন।
ঈদের দিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বল্প-সংখ্যক যাত্রীর আনাগোনা। তাদের মধ্যে অনেকেই জায়গা আগে থেকেই নিতে চলে এসেছেন লঞ্চ ঘাটে। তাদেরই একজন হাতিয়াগামী যাত্রী মারুফ হোসেন। তিনি পেশায় একজন দোকান কর্মচারী। তিনি বলেন, ‘ঈদের ডিউটি শেষ করে বাসায় গিয়ে একটু ঘুম দিয়েই সদরঘাট চলে এসেছি। হাতিয়ার লঞ্চ বিকাল বা সন্ধ্যা ছাড়া পাওয়া যায় না। আর আগে না এলে জায়গা পাওয়া মুশকিল। এখন আবার ঈদের সময়, তাই আরও পাওয়া যাবে না। এজন্য আগেই চলে এসেছি। লঞ্চ ছাড়বে বিকালে, এখন বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো পরিবার নিয়ে।’
বিআইডব্লিউটিএ সুত্রে জানা যায় , ঈদ উপলক্ষে সোমবার থেকে বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোর জন্য লালকুঠি ঘাট; বরিশাল, ভোলা, বরগুনা ও পিরোজপুরের লঞ্চের জন্য প্রধান টার্মিনাল এবং পটুয়াখালীর লঞ্চগুলোর ওয়াইজঘাট টার্মিনালে পন্টুন নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে যায়। বর্তমানে সারাদেশে ২০২টি নৌরুটে ৮০০টি লঞ্চ চলে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৪২টি রুটে লঞ্চ ছাড়ে; ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৯ হাজার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়।
সুন্দরবন-১০ এর কর্মকর্তা মো. দুলাল জানান, বরিশালের লঞ্চ সাধারণত রাত ৮ টার পর ছাড়ে। তাই এসময় যাত্রী কমই থাকে। যাত্রী আসা শুরু করে বিকাল থেকে। ওই সময়ে চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে হাতিয়াগামী লঞ্চ এমভি ফারহান-৩-এর ম্যানেজার আলাউদ্দিন বলেন, ‘এই সময় আরও যাত্রী থাকার কথা। এখন কম আছে। আমাদের লঞ্চ বিকেলে ছাড়বে। তখন হয়তো ভরে যাবে।’