খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নাটক শুরু হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

মতিয়া চৌধুরীবিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দলটির ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নানা নাটক শুরু হয়েছে। বিএনপি কান্নাকাটিসহ কত কিছু যে তারা করছে, মনে হয় ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া দেশে কোনও হাসপাতাল নেই।’ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত  বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির একটাই কথা, সব ঝুট হ্যায়। ইউনাউটেড হাসপাতাল ছাড়া দেশে আর কোনও হাসপাতাল নেই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় না, সিএমএইচও না। এখন বলা হচ্ছে তিনি নাকি হাঁটতেই পারছেন না।’

নানা অজুহাত তুলে নির্বাচনের পরিবেশকে মেঘাচ্ছন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একবার বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনে যাব না,  আরেকবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘লাল দুটি কাকাতুয়া ধরেছে যে বায়না/ চাই তার লাল জুটি চিরুনি আর আয়না।ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া উনি কোথাও যাবেন না।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জাতীয় পার্টির সমালোচনার জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮২ সালে বেসরকারি খাতে প্রথম প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রথম প্রজন্মের ব্যাংকগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সরকারি প্রশ্রয়ে ব্যাংকগুলোর লুটপাট শুরু হলো। যার মধ্যে দিয়ে দেশের আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেটা সহজ কাজ ছিল না। অনেক ধরনের যুদ্ধের উসকানি এড়িয়ে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস একে অন্যের সঙ্গে গলাগলি করে চলে। এদের টার্গেট যুব সমাজ। তাই মাদকবিরোধী অভিযানে জিরো টলারেন্স নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এর বিরোধিতা  করছেন, তারা জ্ঞানপাপী। যুব সমাজকে মাদকের ছোবলের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে।’

এ সময় সঞ্চয়পত্রের ওপর থেকে সুদ না কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।