গত ৭ মাসের মধ্যে এ দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এটি হবে দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ওয়াং ই গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বেইজিংয়ের সহায়তা চাইবো। কারণ, মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব রয়েছে।’
গত আগস্টে বড় আকারে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একাধিকবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজ্যুলেশন গ্রহণ করার চেষ্টা করলেও চীনের বিরোধিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিটি দেশ তাদের জাতীয় স্বার্থের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং চীনও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মানবিক বিপর্যয়ের সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকার এগিয়ে আসে এবং ভিন্ন ধরনের ব্যবহার করে।’ তিনি জানান, এ সফরে বাংলাদেশ চেষ্টা করবে চীনকে বোঝানোর জন্য যে রোহিঙ্গা সমস্যা গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
মিয়ানমারে চীনের বড় ধরনের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে এবং তারা সেখানে খনিজ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের মধ্যে একটা অংশ সহজেই উগ্রবাদীদের শিকার হয়ে বিপথে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।