পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ বছর অর্থমন্ত্রী ইক্যুইটি রি-ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নামে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রেখেছেন। বাজেটে সরাসরি না এনে কৌশলে করেছেন। কিছু মানুষ ঋণের নামে টাকা লুট করবে আর জনগণের করের টাকায় মূলধন সরবরাহ করা হবে এটা হতে পারে না।’
‘ব্যাংক লুটপাটকারীদের’ নাম প্রকাশ না করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাজেট পেশের আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্যাংক খাতের জন্য কমিশন গঠন করবেন। পরদিন বললেন, তিনি করবেন না। কেন করবেন না? কমিশন করলে বের হয়ে আসতো কারা ব্যাংক লুটপাটে জড়িত। রিজার্ভ ব্যাংক থেকে টাকা চুরি ঘটনা ঘটলো। এই পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। তিনি সেটা করেননি। সংসদে কথা দিয়ে তিনি কথা রাখেননি। বাক্স ঢেকে রাখেন কেন? কাদের নাম আছে জাতি জানতে চায়।’
পীর ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারি হলো। বাজার তলানিতে ঠেকেছে। ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি হলো। সেই রিপোর্ট প্রকাশ করলেন না। কাদের স্বার্থে করেন না? কাদের স্বার্থে অর্থমন্ত্রী নিশ্চুপ হয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী কী একাই বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যাবেন আর অর্থমন্ত্রী ব্যাংক চোর শেয়ার বাজার চোরদের পাহারা দিয়ে যাবেন? ব্যাংকের টাকা যারা নিয়ে যায় তাদের নাম প্রকাশ হয় না। তাদের নাম বলতে লজ্জা কোথায়? কৃষক ঋণ নিলে মামলা হয় আর ব্যাংক লুটেরাদের নাম প্রকাশ হয় না।’
অর্থ বছরের শেষ নাগাদ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ খরচে লুটপাটের অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘জুন মাসে এডিপিতে যে ব্যয় করতে হবে তাতে দুটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব। এসময় কাগুজে অর্থ ব্যয় করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়।’