আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে নতুন পথে রেল যোগাযোগ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। যেটি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. চোপ লাল ভূশালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদারের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া মালামাল পরিবহন ও ট্রানজিট হিসেবে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে ব্যবহার করতে দেওয়ার প্রস্তাবও পুনরায় দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ অধিক গুরুত্বারোপ করছে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্যে এখন ৩৪ শতাংশই নারী সদস্য এবং স্থানীয় সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রায় ৪০ শতাংশ। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৩ হাজার নেপালি শিক্ষার্থী এখন বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গড়ে ওঠার সম্ভবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, নেপালের ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির জন্য সংলাপ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্যও নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান। খবর বাসস।