পিআইবিকে আইনি কাঠামোয় আনতে সংসদে বিল পাস



পিআইবিবাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) কার্যক্রম আইনি কাঠামোর আওতায় আনার প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে। বুধবার (১১ জুলাই) জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) বিল-২০১৮’ পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এতদিন ১৯৭৬ সালের ১৮ অগাস্টের একটি সরকারি আদেশ (রেজুলেশন) দিয়ে পিআইবির কার্যক্রম চলছিল।
গত ১১ এপ্রিল বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পাস হওয়া বিলে সাংবাদিকের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, যারা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া বা বার্তা সংস্থার কাজে সার্বক্ষণিক সাংবাদিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন অথবা সেসব মিডিয়া বা সংস্থায় সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপিরাইটার, কার্টুনিস্ট, সংবাদ চিত্রগ্রাহক অথবা সম্পাদনা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত পদধারীরা এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবেন।
সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সনদ দেওয়া, সিলেবাস প্রণয়ন, সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা দেওয়া, সরকারকে বিভিন্ন সময় অভিমত বা পরামর্শ দেওয়াও পিআইবির কাজ।
বিলে বলা হয়েছে, ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক বা শিক্ষাবিদ বা জনসংযোগে দক্ষ ব্যক্তিদের’ মধ্য থেকে একজনকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবে সরকার।
তথ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি; প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, পদাধিকার বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, সরকার মনোনীত বহুল প্রচারিত জাতীয় সংবাদপত্রের দুই জন সম্পাদক, সরকার মনোনীত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একজন প্রধান নির্বাহী বা সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মনোনীত দুই জন সাংবাদিক; বিশিষ্ট সাংবাদিক বা শিক্ষাবিদ বা জনসংযোগে দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার নিযুক্ত দুই জন ব্যক্তি এই বোর্ডের সদস্য হবেন।
পিআইবির মহাপরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। পরিচালনা বোর্ডকে প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে।
সরকার মনোনীত সদস্যরা বোর্ডে থাকবেন দুই বছরের জন্য। তবে সরকার চাইলে যেকোনও সময় কোনও কারণ দর্শানো ছাড়াই পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে। পিআইবির মহাপরিচালক হবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী, তিনি মুখ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিলে বলা হয়েছে, পিআইবি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, তথ্য ও গণমাধ্যমকর্মী বা উন্নয়ন ও যোগাযোগকর্মী এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া সাংবাদিকতা বিষয়ে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও অন্য ডিগ্রি কোর্স পরিচালনা ও সনদও দেবে প্রতিষ্ঠানটি।