কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বিতর্কিত করতেই ভিসি’র বাড়িতে আক্রমণ: আনু মুহাম্মদ




‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক’দের ব্যানারে সংহতি সমাবেশকোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাড়িতে আক্রমণকে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন ‘তেল গ্যাস-খনিজ-সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক ড.আনু মুহাম্মাদ। তিনি বলেন, ‘ভিসির বাড়িতে আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নষ্ট করা, বির্তকিত করা।’ বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামনে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক’দের ব্যানারে সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ভিসির বাড়িতে যখন হামলা হয়েছে, তখন ঢাবি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কেউ জড়িত নয়। তাহলে কেন আজ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে নিযার্তন করা হচ্ছে? হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না করে উল্টো আন্দোলনকারীদের রিমান্ডে নিয়ে নানা রকম নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয়, ভিসির বাড়ি আক্রমণ করার উদ্দেশ্য ছিল এই আন্দোলনকে নষ্ট করা। এ আক্রমণটা ছিল একটি অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা।’
তেল গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির এ সদস্য সচিব আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন দেশে সন্ত্রাসীদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন, তেমনি ঢাবির প্রক্টররাও ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের রক্ষার দায়িত্বে আছেন। দেশে কোনও ন্যায্য আন্দোলন করলে সরকার বলে, এসব আন্দোলনের পেছনে জামায়াত-শিবির আছে । যদি সব আন্দোলনকে জামায়ত-শিবিরের আন্দোলন বলে, তাহলে আমি বলবো, সব সরকারের চেয়ে এই সরকার জামায়াত-শিবিরকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে।’
আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রবল চাপ উপেক্ষা করে তারা আন্দোলনে নেমেছে। হামলার প্রতিবাদ জানাতে তারা আজকে রাস্তায় নেমেছে। তাদের সঙ্গে ছাত্রীরাও নানা বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে আসছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজকে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এটি হলো শিক্ষাথীদের দীর্ঘদিনের গভীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ । প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ আন্দোলনে শিক্ষকরাও কেন যুক্ত হয়েছেন? আপনাকে বলতে চাই, আপনি যদি একঘণ্টার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতেন, তাহলে দেখতে পেতেন, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের মাত্রা কতটুকু। এ আন্দোলন কিভাবে গভীর ক্ষোভ থেকে তৈরি হয়েছে, তা আপনি দেখতেন।’
শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশে সংহতি জানাতে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন বিম্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা প্রমুখ।