বৈঠকের শুরুতে জার্মান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। আলোচনায় উভয় মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার জার্মানি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে পণ্য রফতানিতে গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক পদক্ষেপের উচ্চকিত প্রশংসা করেন অ্যানেন। বর্ষা মওসুমে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকেও স্বাগত জানান তিনি।
জার্মান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এসময় রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগের জন্য অ্যানেনকে অনুরোধ জানান মাহমুদ আলী।
বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলকে বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণের কথা মনে করিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার বিকালে ঢাকায় পৌঁছান জার্মান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিন দিনের এই সফরে জার্মান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করবেন। ঢাকা সফরের আগে জার্মান প্রতিমন্ত্রী ভারতের নয়াদিল্লি সফর করেন এবং ভারতীয় নেতাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।