আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মো. শামসুল হক টুকু, জিয়াউল হক মৃধা, সফুরা বেগম ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘‘আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখতে পাই এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দেওয়ার অনেক পরে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই সময়টায় যাদের আসামি করা হয়, তাদের কোর্টে নির্দিষ্ট সময় পর পর আদালতে হাজিরা দিতে হয়। আমরাও মনে করি, এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এমন হওয়া উচিত, একবার সারেন্ডার করে জামিনে যাবে, অভিযোগপত্র দেওয়ার আগ পর্যন্ত ‘অন কল’থাকবে। তাদের মাসে মাসে হাজিরা দেওয়ার দরকার পড়বে না। এই লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রণালয়কে একটা আইন করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগপত্র দাখিলের আগে লিগ্যাল প্রসিডিং শুরু হয় না। এর আগে আসামির কোর্টে যাওয়া না যাওয়ায় কিছু যায়-আসে না।’’
আসামিদের হাজিরা দেওয়ার নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে আবদুল মতিন খসরু আরও বলেন, ‘আসামিদের মাস অন্তর কোর্টে যেতে উকিল-পেশকার থেকে শুরু করে আঠারো ঘাটে টাকা দিতে হয়। একটা পরিবার এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যায়। ন্যায়বিচার পেতে এসে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। বিচারের নামে বিচারপ্রার্থীরা অবিচারের শিকার হয়। এটা বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছি।’
বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার কথা বলে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারে ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা আছে। তদন্তের সুবিধার্থে হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারটি আছে। সংসদীয় কমিটি যে সুপারিশ করেছে, ওই জায়গাটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’
এদিকে, বৈঠকে পিপি ও এপিপিদের বেতন-ভাতা সম্মানজনকভাবে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। সংসদীয় কমিটির বৈঠক সম্পর্কিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কমিটি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রকার অবিচার, হয়রানি ও অপমানিত হওয়ার কারণগুলো নির্ণয় করে সমাধান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
এছাড়া বৈঠকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করা হয়।