নুর চৌধুরীকে ফেরত সংক্রান্ত মামলায় শুনানির তারিখের অপেক্ষায় সরকার

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী নুর চৌধুরীকে ফেরত আনা সংক্রান্ত মামলায় কানাডার আদালতে শুনানির তারিখের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। গত জুলাইয়ে কানাডার ফেডারেল কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে কাগজপত্র আমরা কানাডার আদালতে জমা দিয়েছি। গত ৩ আগষ্ট কানাডার এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসও তাদের কাগজপত্র জমা দিয়েছে।’ এখন শুনানির তারিখের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

১৯৯৯ সালে কানাডার একটি আদালত নুরের শরণার্থী সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে তাকে বহিস্কারের আদেশ দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৭ সালে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রেখে উচ্চ আদালত তাকে আবার বহিস্কারের নির্দেশ দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে বিপদ অনুভব করে কানাডার এ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে প্রি-রিমোভাল এ্যাসেসমেন্ট রিস্ক আবেদন করে নুর চৌধুরী।

ফেরত পাঠানো হলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে উল্লেখ করে আবেদনে নুর চৌধুরী তাকে কানাডা থাকতে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। গত নয় বছর ধরে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কানাডার এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস।

এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস তার প্রি-রিমোভাল এ্যাসেসমেন্ট রিস্ক আবেদন খারিজ করে দিলে তাকে ফেরত আনার পথে কোনো বাধা থাকবে না। আর যদি তার আবেদন গ্রহণ করা হয়, তবে তাকে সেখানে স্ট্যাটাস দেওয়া হবে এবং তখন নুর চৌধুরী একজন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এই কারণ দেখিয়ে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার আবার মামলা করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধুর অন্য খুনিরা কোথায়

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলি সংসদে বলেছেন বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছে। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে আছে এবং শরিফুল হক ডালিম লিবিয়া অথবা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছে। বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মোসলেম উদ্দিনের জার্মানিতে আছে কিনা এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এছাড়া আবদুল মাজেদের বিষয়ে সর্বশেষ কোন অবস্থানের কথা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।