পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেল রানা জানান, টার্মিনালে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথগুলোকে যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ার আগে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সহায়তায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পরীক্ষা করা হবে। রাস্তায় গাড়ির গতি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। থাকবে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম। বাস টার্মিনালগুলোতে পরিবহন মালিক সমিতি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে।
এসব সিদ্ধান্ত ছাড়াও বৈঠকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা হয়। ফিটনেস-রুট পারমিটবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি না চালানো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক নিয়োগ করা ছাড়াও দীর্ঘ পথে অতিরিক্ত চালক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভারি গাড়ি না চালানো এবং নির্ধারিত যানবাহনের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভার নিয়োগ করার জন্য বলা হয়েছে। বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। হেলপার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক দিয়ে গাড়ি না চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।