বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর জামিন

আদালতে আটক ছাত্রদের পরিবার ও স্বজনরাঅবশেষে ঈদের আগে জামিন পেলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাড্ডা ও ভাটারা থানা পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে আজ রবিবার (১৯ আগস্ট) তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় এখনও ৬ শিক্ষার্থী কারাগারে রয়েছে।

ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক এ কে এম মঈন উদ্দীন সিদ্দিকী ১৫ জন শিক্ষার্থীর শুনানি শেষে পৃথক দুই মামলায় এ আদেশ দেন। একই দিনে ইফতেখার আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীর জামিন দেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু।

বাড্ডা থানার জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, মেহেদী হাছান, ফয়েজ আহমেদ।

ভাটারা থানার জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নূর মোহাম্মদ, আজিজুল হক, মো. হাছান, দোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালেদ রেজা, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান ও ইফতেখার আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জামিনের বিষয়ে এসব তথ্য জানান।

বসুন্ধরায় পুলিশ-শিক্ষার্থী বচসার এমন ঘটনার সূত্র ধরে এই মামলা দায়ের করে বাড্ডা ও ভাটারা থানা পুলিশ (ফাইল ছবি)আসামি পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সোহেল, কবির উদ্দিনসহ অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর এবং আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা।

ওই ঘটনায় বাড্ডা ও ভাটারা থানার দুই মামলায় এদের গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।