সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিরপরাধ কোনও শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা যাবে না। তবে শিক্ষার্থী নয়, কিন্তু আন্দোলনে অংশ নিয়ে উসকানি দিয়েছেন, গুজব ছড়িয়েছেন কারও বিরুদ্ধে, এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থেকে থাকলে তাদের ব্যাপারে কোনও নমনীয় মনোভাব দেখাবে না সরকার। তাদের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে ঢাকার বিভিন্ন থানা ও আদালত সূত্র বলছে, আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী। রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার আদালতে জামিন চেয়ে ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আইনজীবীরা জামিনের পক্ষে শুনানি করেন। পরে ৪২ জন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হন। এরপর ঘাতক বাসচালকের শাস্তি এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।